নমস্কার শ্রোতাবন্ধুরা, গল্পকথার আসরের আজকে বৈঠকে যোগ দেবার জন্য আপনাদের অজস্র ধন্যবাদ । আমি রুদ্র দত্ত । আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, ও তাঁর সাহিত্যরচনার কথা, আগেই আপনাদের কাছে বলেছি । বঙ্গীয় শিক্ষা পর্ষতের পাঠ্যপুস্তকে তাঁর একটি রচনা মাঝখানে কিছুদিন স্থান পেয়েছিলো তা উল্লেখ করেছিলাম - আজ সেই রচনাটি পাঠ করবো । পাঠ শুরু করা আগে একটা কথা বলে নিই । গতানুগতিক অর্থে এটিকে গল্প বলতে অনেকের বাধতে পারে, কারণ এটি একটি ভ্রমণকাহিনী । কিন্তু ভ্রমণকাহিনীও তো কাহিনী - তার মধ্যেও চরিত্র আছে, তাদের মানসিক অনুভূতি আছে, ঘটনাবিন্যাস আছে । সেই বিচারে এই রচনাটিকে গল্প বললে কোনো ভুল হয়না বলেই মনে করি । শ্রোতাবন্ধুরা নিজেরা শুনে দেখুন, কি মনে হয় ।
এই গল্পে দেখবেন জগদীশচন্দ্রের মেজাজ তাঁর লঘু গল্প "পলাতক তুফান"-এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । অনেক ব্যক্তিগত, শান্ত কণ্ঠস্বর । মানুষ জগদীশচন্দ্রে গলা যেন অনেক পরিষ্কার করে শোনা যায় । অথচ ভাষা একই রকম সাবলীল । বিভিন্ন রচনার বিভিন্ন প্রয়োজনে এমন করে কন্ঠস্বর পালটে নিতে অনেক দক্ষ সাহিত্যিকেরও অসুবিধা হয় । জগদীশচন্দ্র কতো সার্থকভাবে তা করতে পেরেছেন দেখে আবার বলতে ইচ্ছে করে, তিনি আরো কিছু লেখা লিখে গেলে কতো ভালো হতো ।
আরম্ভ করছি আজকের পাঠ, জগদীশচন্দ্র বসুর গল্প, "ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে" ।