নমস্কার শ্রোতাবন্ধুরা, "গল্প-কথার আসর"-এর আজকের বৈঠকে যোগদান করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । আমি রুদ্র দত্ত ।
বন্ধুবর রাজীব এই পডকাস্টে গজেন্দ্রকুমার মিত্রের সম্বন্ধে এই পডকাস্টে আগের এপিসোডে বলেছে, এবং তাঁর একটি গল্প পাঠ করেছে । আমিও আজকে তাঁরই একটি গল্প পাঠ করবো । সাহিত্যকর্মী গজেন্দ্রনাথ - নিজে সাহিত্যিক, সাহিত্য প্রকাশক (বাংলা সাহিত্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ "মিত্র এবং ঘোষ প্রকাশনী"-র অন্যতম হোতা), এবং সবচেয়ে বড় কথা সমাজসচেতন নাগরিক - তাঁকে নিয়ে আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই । শুধু আজ তাঁর যে গল্পটি পাঠ করবো, তাই নিয়ে দুটি কথা বলতে চাই ।
গজেন্দ্রকুমারের প্রধান সাহিত্যকীর্তি তাঁর বহুসংখ্যক উপন্যাস এবং বেশ কিছু গল্প-কবিতা হলেও, গজেন্দ্রকুমার কিন্তু বেশ কিছু গল্প রচনা করেছিলেন শুধু ছোটোদের কথা ভেবে । এবং এই গল্পগুলির প্রায় বেশীরভাগই ঐতিহাসিক, বা সমকালীন ঘটনার তথ্যভিত্তিক বিবরণ । আজকে যে গল্পটি পড়ব, সেটি ইতিহাসের একটি বিশেষ দৃশ্যের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে লেখা । এই কাহিনীটি, এবং এইরকম গজেন্দ্রকুমারের ছোটোদের জন্য লেখা অন্যান্য গল্প পড়ে শরদিন্দুর সেই উক্তির কথা আবার মনে পড়ে যায় - "যে জাতির ইতিহাস নাই, তাহার ভবিষ্যৎ নাই ।" এবং সেইজন্য শরদিন্দু যে প্রচেষ্টা করেছিলেন. এবং আরো অনেকে বাংলা সাহিত্যজীবনে যে প্রচেষ্টা করেছেন, ইতিহাস - বিশেষ করে বাঙালীর ইতিহাস - সম্বন্ধে গল্প-উপন্যাসের প্রয়োগে বাঙালী পাঠককে সচেতন করে তোলা, জাগ্রত করে তোলা, এই গল্পটিও অবশ্যই কিছুটা তাই ।
আর কথা না বাড়িয়ে আরম্ভ করছি আমার পাঠ - গজেন্দ্রকুমার মিত্রের গল্প, "দেবতার রোষ" ।