Rajib and Rudra look back at the third season of the podcast, present the audiobooks being published in the remaining episodes of 2022, comment on the non-commercial nature of this podcast, and make a few remarks on what is to come for the podcast in 2023, after the break. Released December 17th, 2022. Episode 234 of Season Three.
রাজীব: নমস্কার শ্রোতা বন্ধুরা। গল্পকথা র আসরের আজকের বৈঠকে যোগদানের জন্যে আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি রাজীব ঘোষ।
রুদ্র: আর আমি রুদ্র দত্ত।
রাজীব: দেখতে দেখতে আমরা পেরিয়ে এলাম আরো একটি বছর। আমাদের তৃতীয় সিজন এর আজ শেষ বৈঠক । বছর টা কি ভাবে কেটে গেলো বোঝাই গেল না, তাই না রে রুদ্র?
রুদ্র: যথার্থ বলেছিস। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন আমাদের তৃতীয় সিজন শুরু হল। আর আজ শেষ বৈঠক - আমাদের তৃতীয় সন্ধ্যা ।
রাজীব: এই সন্ধ্যার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করে দিলে হতো না, রুদ্র ? (chuckles)
রুদ্র: হ্যাঁ তা তো দিতেই পারি । সন্ধ্যা বলতে আমরা বিকেলের পরে দিনের যে সময়টা আসে, সাধারণতঃ সেটাকেই বুঝি । কিন্তু দিনের যে কোনো দুই ভাগের মধ্যেটাকেই সন্ধ্যা বলা যেতে পারে - সন্ধ্যা মানে আসলে সন্ধিক্ষণ ।
রাজীব: তার মানে সকালটাকেও এক ধরণের সন্ধ্যা বলা যায় ?
রুদ্র: নিশ্চয়ই যায় । আর তৃতীয় একটি সন্ধ্যা হলো দুপুর বারোটা - কারণ তা দিনের প্রথমাংশ আর শেষাংশের সন্ধিক্ষণ ।
রাজীব: তাইতো । নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণদের "ত্রিসন্ধ্যা আহ্নিক" করার কথাটা তো আমরা সকলেই শুনেছি ।
রুদ্র: সেইজন্য, এই তৃতীয় সীজনের শেষ, আর চতুর্থ সীজনের আরম্ভের সন্ধিক্ষণকে সন্ধ্যা বললে কোনো ভুল হয় না ।
রাজীব: তাহলে তুই বলছিস, যে আমাদের পডকাস্টের সূর্য এখন মধ্যগগনেও হতে পারে ? (chuckles)
রুদ্র: আলবৎ ! (both laugh) - শ্রোতা বন্ধুরা, এই সীজ্ন-টা আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ত পূর্ণ ছিল।
রাজীব: আপনাদের মনে করিয়ে দি, যে এই সীজ্ন-এর সূচনায় আমরা বলেছিলাম যে বাংলা সাহিত্যে এমন অনেক সাহিত্যিক আছেন যারা হয়ত কালের নিয়মে কিছুটা মৃয়মান হয়ে পড়েছেন বাঙ্গালী পাঠক দের কাছে। কেউ হয়ত নামেই রয়ে গেছেন স্মৃতি তে, কিন্তু তাদের সাহিত্য ভান্ডার কিছুটা অধরা হয়ে গেছে পাঠক দের কাছে।
রুদ্র:আমরা চেয়েছিলাম সেই সব মনিকণাকে তুলে আনতে আপনাদের সামনে।এই সীজনে তাই আমরা ঠিক করেছিলাম যে এই রকম কিছু সাহিত্যিক এর সাহিত্য সম্ভারের ওপরে আলোক বর্তিকা ফেলব। সেই উদ্যোগ নিয়ে তাই আমরা পড়েছি শ্রী বিমল কর, শ্রী নরেন্দ্র নাথ দত্ত, শ্রী অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত, শ্রী বিভূতি ভূষণ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীমতী লীলা মজুমদার এর বেশ কিছু গল্প।
রাজীব: তবে তাতেই থেমে না থেকে আমরা পরিবেশন করেছি, শ্রী প্রমথ নাথ বিশী, শ্রী শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মহাশ্বেতা দেবী, শ্রী সুবোধ ঘোষ, এবং আচার্য জগদীশ চন্দ্রের কিছু নির্বাচিত রচনা ও । সব মিলিয়ে আমরা এই পডকাস্টে যাঁদের লেখা পাঠ করেছি, এই তৃতীয় পর্বের শেষে তাঁদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চৌত্রিশ ।
রুদ্র: ভৌতিক এবং অলৌকিক রসের ওপরে কিছুটা আলোক পাত করেছিলাম এই সিজন এ, তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী এবং হরিনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর কিছু কিছু গল্পপাঠ ও আমরা করেছি । আবার বাংলায় গোয়েন্দা কাহিনীর একদম প্রথম দিকের লেখকদের দিকেও ফিরে তাকিয়েছি ।
রাজীব: তবে রুদ্র আমরা কিন্তু তাই বলে আগের সীজ্ন-এর লেখকদের রচনা বাদ দিই নি। প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায় এবং শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু গল্পপাঠ ও হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সিজন এ, ছোটো গল্প, বড় গল্প, উপন্যাস মিলিয়ে, আমরা তিরাশিটি কাহিনী পাঠ করেছি শ্রোতা বন্ধুদের জন্যে।
রুদ্র: আচ্ছা রাজীব, এই সীজনে আমরা যে গল্পগুলো পড়লাম তার থেকে একটা-দুটো পছন্দের গল্প বাছ তো, যেটা তোকে প্রভাবিত করেছে।
রাজীব: শক্ত কাজ রে, রুদ্র। এত ভালো লেখা আমরা এই সীজনে পরিবেশনা করেছি যে তার থেকে মাত্র একটি-দুটি কে বাছা খুবই শক্ত কাজ। তবু চেস্টা করছি। নরেন্দ্র নাথ মিত্রের "পঁচিশশো-র এঞ্জেলেস সিটি-তে" গল্পটি আর শৈলজানন্দ-এর "কৃষ্ণা" গল্পটি আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে |
রুদ্র: কেন যদি একটু বলিস আমাদের শ্রোতা বন্ধুদের।
রাজীব: "পঁচিশশো-র এঞ্জেলেস সিটি-তে" গল্পটি এক বেদনা বিধুর পরিণতির দিকে আমাদের দৃষ্টি ঘোরায় - মানব সভ্যতা অন্ধের মত পরিবেশ এর ধ্বংস করে চলেছে তার পরিণতির কথা না ভেবে। এর ফল সুদূরপ্রসারী হবে। ১৯৬২ সালে বসে এই রচনা নরেন্দ্র নাথের সময়ের থেকে বহু এগিয়ে থাকার স্বীকৃতি দেয়।
রুদ্র: আর "কৃষ্ণা"?
রাজীব: "কৃষ্ণা" গল্পটি শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এর একটি অন্যতম বিখ্যাত গল্প । এই নিয়ে গল্পপাঠ এর সময়েও বলেছিলাম। গল্পটি সেই সময়ের মধ্য বিত্ত বাঙালি সমাজের যে প্রতিকৃতি এঁকেছে তা একদিকে যেমন আকর্ষক অন্য দিকে তেমনি হৃদয়বিদারী। গল্পের শেষে গল্পটি ভৌতিক না কি করুণ রসের সেটাও গুলিয়ে যায়!
রুদ্র: বাঃ, ভালো বলেছিস।
রাজীব: আচ্ছা, এবারে তোর পছন্দের দু-একটা গল্পের কথা বল।
রুদ্র: গল্প তো কোনোটাই ফেলনা নয় - বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধি তো সেইখানেই । তাও বিশেষ করে মনে পড়ছে একটা-দুটোর কথা - মহাশ্বেতা দেবীর "তালাক" গল্পটি তার মধ্যে একটি । মানুষে-মানুষে সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, যে কতো রঙের হতে পারে, তা আমাদের সব সময় মনে থাকে না । এই গল্পে এক স্বামী-স্ত্রীর লেনদেনের মধ্যে দিয়ে সেইরকম এক সম্পর্কের পরিচয় পাই - তার মধ্যে প্রত্যাশা, আত্মসম্মানজ্ঞান, দরদ, সবই আছে । ছোট্ট গল্প, কিন্তু মনে একটা অনুরণন রেখে যায় ।
রাজীব: একদম সত্যি ।
রুদ্র: আর অন্যদিকে বলবো, রবীন্দ্রনাথের "সংস্কার" গল্পটি এমন এক গল্প, যে জীবনের যে সময়, যে কোনো পটভূমিকায়, যেভাবেই সেটি পড়ি না কেন, গল্পটি ছোট্ট একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে মানুষ হিসেবে, মানবসমাজ হিসেবে, আমাদের অগ্রসর হবার, যাকে বলে মানুষ হবার, এখনো অনেক পথ বাকি । এই গল্পটির পাঠ শুনে একজন শ্রোতাবন্ধু মতপ্রকাশ করেছেন, যে এই পডকাস্টে আমার পড়া গল্পগুলির মধ্যে এইটাই সর্বশ্রেষ্ঠ ।
রাজীব: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের এইরকম এক-একটি কথা, আশ্বাসবাণী, যে আমাদের কতটা আত্মপ্রত্যয় যোগায়, পডকাস্ট চালিয়ে যাওয়ার ভরসা পেতে কতোটা সাহায্য করে, তা বলে বোঝাতে পারি না ।
রুদ্র: আপনাদের অনেকের কাছ থেকে প্রভূত উৎসাহ এবং প্রশংসাও পেয়েছি এই বছরে। আপনারা চেয়েছেন আমাদের এই উদ্যোগ চলুক। শ্রুতি মাধ্যম এ এই সাহিত্য চর্চা আপনাদের পথের সাথী হয়েছে বিভিন্ন সময়ে এ কথাও আপনারা আমাদের জানিয়েছেন।গল্পকথা র আসরের তরফ থেকে আমরা সবাই আপনাদের জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
রাজীব: একটা উদ্যোগ কে সার্থক করতে, অর্থবহ করতে দুই পক্ষের সহযোগিতা লাগে। আমরা এই উদ্যোগে নেমেছিলাম নিজেদের ভালো লাগা কে সম্বল করে। আপনারা আমাদের এই প্রয়াস এর সঙ্গী হয়েছেন সেটা আমাদের আশাতীত পাওনা।
রুদ্র: আপনারা জানেন যে প্রথম থেকেই, কোনো আর্থিক উপার্জন বা বাণিজ্য আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না, এবং এখনো নেই । শ্রোতাদের কাছ থেকেই হোক, বা কোনো বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকেই হোক, আমাদের কোনো অর্থাগম নেই - চাহিদাও নেই । এই পডকাস্ট চালানোর যেটুকু খরচ, সেটা আমরা নিজেরাই ব্যক্তিগত ভাবে দিয়ে থাকি - আর খুশি হয়েই দিয়ে থাকি । আপনাদের ভালো লাগাই আমাদের একমাত্র পাথেয় ।
রাজীব: আমরা চেয়েছি এই দ্বিপাক্ষিক ভালো লাগাটা দীর্ঘস্থায়ী হোক। কোন বাণিজ্য সংস্থা হয়ত আমাদের এই প্রয়াসের মতো কোন প্রয়াস যে হতে পরে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে, সেটা ভাবতেই পারেন না। তাই কোন কোনো সময়ে তারা হয়ত আমাদের এই বাণিজ্য বিহীন প্রয়াস এর কন্ঠ রোধ করতে উদ্যোগী হন।
রুদ্র: আপনারা যাঁরা নিয়মিত আমাদের পডকাস্ট শুনছেন, বিশেষ করে স্পটিফাই-তে শুনছেন, তাঁরা লক্ষ করে থাকবেন যে আমাদের পডকাস্ট হঠাৎ আর সেখানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এর কারণও হলো এইরকম এক বাণিজ্যিক সংস্থার আপত্তি । তাঁরা চান যে আমরা এইরকম পাঠ প্রকাশ না করি । সে অধিকার শুধু তাঁদেরই ।
রাজীব: এইটা হতে দেওয়া যায় না । অবশ্য, যে কোনো সাহিত্যিকের নিজের সাহিত্যকীর্তির উপর তাঁর নিশ্চয়ই অধিকার আছে - যে অধিকার তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারীও দাবী করতে পারেন । তা আমরা কখনোই অস্বীকার করছি না । কিন্তু সে অধিকার প্রকাশনা এবং বিতরণের অধিকার । পাঠ করার অধিকার তো তার মধ্যে পড়ে না ।
রুদ্র: আর আমাদের পাঠ করার ফলে এইসব সাহিত্যকীর্তির বৈষয়িক ভাবে সামান্যতম ক্ষতি হচ্ছে বলে তো মনে হয় না । বরং বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য, আরো ভাস্বর, আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে বলেই তো আমরা মনে করি । আর সেটাই আমাদের ব্রত - যেজন্য অন্য সব কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা এই পডকাস্ট চালিয়ে যাচ্ছি আজ আড়াই বছর ধরে ।
রাজীব: বাঙালী সংস্কৃতির একদম মূলে এই কথাটি আছে, যে আমরা বাঙালী - বাংলা ভাষা, বাংলা ঐতিহ্য, কারুর একলার নয় । তা সমানভাবে সকল বাঙালীর । বাংলা সংস্কৃতির চরিত্র, বাঙালীর চরিত্রের উপর এই বিশ্বাসটুকু রেখেই আমাদের এই প্রয়াস ।
রুদ্র: আমরা আশা করবো যে আগামী দিনে আমাদের এই প্রয়াস কে অপ্রত্যাহত রাখতে আমাদের মত আপনারাও আমাদের পাশে থাকবেন। আপনাদের সবাই কে নিয়েই আমাদের এই বৃহৎ পরিবার, এই পারিবারিক টান অটুট থাকুক আগামী দিনেও।
রাজীব: আমাদের চতুর্থ সিজন কি হবে তাই নিয়ে কিছুটা জল্পনা কল্পনা চলেছে। জানতে পারবেন শিগগিরই। তবে অন্যান্য সিজন এর মত এই বারেও আমরা আপনাদের শ্রুতি সুখের জন্যে তিনটি উপন্যাস প্রকাশ করব, একসাথে! রুদ্র, তাহলে এই বৈঠকে আমরা কি সেই তিনটি শ্রুতি পুস্তকের নাম ঘোষণা করব?
রুদ্র: হ্যাঁ, কেন নয়। শ্রোতা বন্ধুরা, এই শীতের মরশুমে আমরা তিনটি ভিন্ন রসের ও ভিন্ন সাহিত্যিকের রচনা শ্রুতি পুস্তক আকারে আপনাদের কাছে নিয়ে আসব। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের একজন অত্যন্ত পছন্দের সাহিত্যিক। তাঁর ঐতিহাসিক ছোট গল্পঃ কিছু কিছু বিভিন্ন সিজনে আমরা পাঠ করেছি। এই সিজনের শেষে আমরা প্রকাশ করব তাঁর একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস তুমি সন্ধ্যার মেঘ। সেই সাথে থাকবে হেমেন্দ্র কুমার রায় এর প্রথম অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস জখের ধন। আর আমাদের তৃতীয় উপন্যাস টি হল লীলা মজুমদার এর পাখী।
রাজীব: এই প্রত্যেকটির রস, বর্ন, গন্ধ একেবারে আলাদা, লেখার ধরন, পটভূমিকা, সময়কাল, চরিত্র চিত্রন সব ভিন্ন ভিন্ন। আমরা আশা রাখি যে এই তিনটি উপন্যাস এর শ্রুতি পরিবেশনা আপনারা শীতের ছুটিতে উপভোগ করবেন। - হ্যাঁ, সেই সঙ্গে আরও একটা কথা বলে রাখি, অন্যান্য বারের মতই এবারেও আমরা সাপ্তাহিক বৈঠক থেকে মাস দুয়েক এর ছুটি নেব।
রুদ্র: ছুটি মানে প্রকাশনা থেকে ছুটি, আমাদের এই বৈঠকের আয়োজন থেকে নয়। এই সময়টায়, আমরা আমাদের পরবর্তী সিজনের পরিকল্পনা টা পাকা করে নেব, নতুন কি বিষয় বা আঙ্গিক আপনাদের কাছে পরিবেশন করা যায় তাই নিয়ে একটু গবেষণা করে নেব।
রাজীব: আপনাদের ২০২২-এর শেষ কিছু দিন যারপরনাই খুশি এবং আনন্দে কাটুক। নতুন বছরের অগ্রিম প্রীতি ও শুভেচ্ছা ও জানিয়ে রাখলাম ।
রুদ্র: সব্বাই ভালো থাকবেন। শুনতে থাকবেন আমাদের তিন তিনটি শ্রুতি পুস্তক। আর অবশ্যই, জানাতে ভুলবেন না, আমাদের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো । নমস্কার
রাজীব: নমস্কার ।