The Season One Finale episode - looking ahead to Season Two. Rajib and Rudra converse about Sharadindu Bandyopadhyay and Parashuram, two luminaries of Bengali literature whose works were to be featured in Season Two, starting early in 2021. Released 28 December, 2020. Episode 30 of Season One.
রাজীবঃ শ্রোতা বন্ধুরা, গল্পকথার আসরের আজকের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । আমি রাজীব ঘোষ ।
রুদ্রঃ আমি রুদ্র দত্ত ।
রাজীবঃ আমাদের এই কথকতা দিয়ে গল্প কথার আসরের প্রথম পর্বের সূচনা করেছিলাম ।
রুদ্রঃ তাই ভাবলাম, এই কথার পৃষ্ঠে কথা দিয়েই এই পর্বের সমাপ্তি ঘটাই । আর সেই সুযোগে বলে নিই আমাদের দ্বিতীয় পর্বের ঘোষণার কথা ।
রাজীবঃ আমাদের দ্বিতীয় পর্ব অথবা যাকে পরিভাষায় বলে "সীজন টু" নতুন বছরের গোড়ার দিকেই শুরু হবে । প্রথম পর্বে আমরা যাঁদের যেসব গল্প পাঠ করেছি, তা তো চালিয়ে যাবোই, কিন্তু পরের পর্বে কিছু ভিন্ন রসের এবং ভিন্ন সাহিত্যিকের গল্পও শুরু করব ।
রুদ্রঃ বিশেষ করে, আমাদের দুজনের প্রিয় দুই সাহিত্যিকের রচনা পাঠের মধ্যে আনতে চাই - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং রাজশেখর বসু ওরোফে পরশুরাম ।
রাজীবঃ প্রথমে শরদিন্দু | বাংলা কথা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । বাংলা গদ্যের এমন কোনো শাখা নেই যাতে তিনি অনায়াস ভঙ্গীতে অবাধে চলাচল করেননি । আরেকটা ব্যাপার হলো ওনার সাহিত্য এ প্রবাসী জীবনের প্রভাব পড়েছে বহু জায়গায় - তাই না রুদ্র ?
রুদ্রঃ একদম ঠিক । ১৮৯৯ সালে তাঁর জন্ম হয় বান্গলার বাইরে বর্তমান উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে । বিহারে কেটেছে তাঁর অনেকটা জীবন । বিহারের পূর্ণিয়াতে ছিল তাঁর বাবা তারাভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক বাড়ি । তার পরে পাটনাতে তিনি সময় কাটিয়েছিলেন আইন নিয়ে পড়াশোনা করার সময় । কাজেই বিহারের কথা, বিশেষ করে মুঙ্গেরের পটভূমিকা রয়েছে তাঁর অনেক গল্পে । প্রবাসী বাঙালী জীবনের জলছবি এঁকেছেন তিনি তাঁর সাহিত্যে ।
রাজীবঃ শরদিন্দুর সৃষ্টির কথা উঠলেই চলে আসে ব্যোমকেশ বক্সীর কথা । ধুতি পাঞ্জাবী পরিহিত এই সৌম্য বাঙালী গোয়েন্দা শরদিন্দুর লেখনীতে হয়েছে "সত্যাণ্বেষী" । অপরাধী নয়, সত্যের অনুসন্ধানই তার উদ্দেশ্য । বর্তমানে ব্যোমকেশকে চেনে প্রায় গোটা ভারতই । হিন্দী এবং বাংলায় ব্যোমকেশের বহু গল্প এবং উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ হয়েছে ।
রুদ্রঃ বড় পর্দায় এবং টি-ভি-র ছোটো পর্দাতে ব্যোমকেশকে মূর্ত করেছেন কখনো রজিত কাপূর, কখনো সুশান্ত সিং রাজপুত, কখনো মহানায়ক উত্তমকুমার, তো কখনো আবীর চক্রবর্তী বা যীশু সেনগুপ্ত । আর কাউকে বাদ দিলাম কি রাজীব?
রাজীবঃ এক জন বাদ পরলেন - ধৃতিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রবীণ ব্যোমকেশের চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করেছেন "শজারুর কাঁটা" ছবিতে ২০১৫ সালে । এছারা ব্যোমকেশ ঢুকে পড়েছে "প্রাক্তন" ছবিতে ব্যবহৃত অনুপম রায়ের গানে । ব্যোমকেশের গল্প নিয়ে ২১-টি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে হিন্দী এবং বাংলায় । এছাড়াও হয়েছে টেলিভিশন সিরিজ এবং শ্রুতিনাটক ।
রুদ্রঃ কিন্তু গোয়েন্দা গল্প শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সাহিত্য সম্ভারের একটা অংশমাত্র । সেই সম্ভারে রয়েছে আরো বহু স্বাদের রচনা - রয়েছে ভূতান্বেষী বরদার বেশ কিছু গল্প, পাঁচটি ঐতিহাসিক উপন্যাস যার প্রত্যেকটি তাদের পটভূমিকার সময়কালকে পাঠকের চোখের সামনে মূর্ত করেছে অত্যন্ত নিপুণভাবে । পড়তে পড়তে পাঠক যেন কালান্তরিত হয়ে পৌঁছে যায় সেই সব ঐতিহাসিক স্থানে আর সময়ে ।
রাজীবঃ শুধু তাই নয়, এছাড়াও আছে ঝিন্দের বন্দী অথবা দাদার কীর্তির মতো সামাজিক উপন্যাস যে দুটি নিয়ে চলচ্চিত্র বানিয়েছেন তপন সিংহ, আছে অসংখ্য ছোটো গল্প আর মারাঠী শিশু নায়ক সদাশিবের কর্মকান্ডের ইতিবৃত্ত । শোনা যায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় আরো কিছু সদাশিবের কাহিনী লিখতে ইচ্ছুক ছিলেন কিন্তু ১৯৭০ সালে মাত্র ৭১ বছর বয়সে আকস্মিক তাঁর মৃত্যুতে সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়নি ।
রুদ্রঃ সিনেমার চিত্রনাট্যকার হিসেবেও বম্বেতে কাজ করেছেন - চারটি চলচ্চিত্রের তিনি চিত্রনাট্যকার । যদিও তিনি নিজে যেসব মৌলিক চিত্রনাট্য, বা নিজের উপন্যাসের চিত্রনাট্যরূপ, রচনার চেষ্টা করেছিলেন, সেগুলি থেকে সিনেমা হয়নি । বলা হয়তো ভুল হবে না, তিনি সাহিত্যিক হিসেবে যে খ্যাতি ও সাফল্য অর্জন করেছিলেন, চিত্রনাট্যকার হিসেবে তার কিছুই পাননি ।
রাজীবঃ কিন্তু তাঁর লেখায় কথাচিত্রের ভূমিকা সবসময়েই প্রধান ছিলো । পড়তে বসলে কল্পনায় মনে হয় যেন একটা ছবি দেখছি । একটা ছোটো উদাহরণ দিলে বোধহয় মন্দ হবে না । কালের মন্দিরা উপন্যাসের কথা আগেই বলেছি | এই গল্পের পটভুমিকা হল গান্ধার অর্থাত অধুনা আফ্গানিস্তান এর এক ছোট হূন শাসিত রাজ্য - নাম বিটঙ্ক | তার রাজধাণী কপত্কূট এর বর্নোনা দিতে গিয়ে শরদিন্দু লিখছেন:
"বিটঙ্ক রাজ্যটি পারিপার্শ্বিক ভূখন্ড হইতে ...
... তাহার পণ্য তত অধিক বিক্রয় হইতেছে ।"
রাজীবঃ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ওই এগারো কি বারো ক্লাসে পড়ার সময়। অবশ্যই ব্যোমকেশের হাত ধরেই। বাবার এক অধ্যাপক বন্ধুর কাছ থেকে বাবা এনেছিলেন পড়ার জন্যে, আমিও ফাঁকে ফোকরে পড়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড পড়ে থামা গেলো না। তৃতীয় খণ্ড টা বাবা এনেছিলেন নিজের পড়ার জন্যে। আমি তাতে হাত দিয়েই ফেললাম।
রুদ্র: তৃতীয় খণ্ড এই তো ওনার অধিকাংশ ঐতিহাসিক উপন্যাস, তাই না?
রাজিব: হ্যাঁ, কালের মন্দিরা পড়ে পৌঁছে গেলাম সেই গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ কিছু বছরে। তারপর একে একে তুমি সন্ধ্যার মেঘ, গৌড় মল্লার, কুমার সম্ভবের কবি, তুঙ্গভদ্রার তীরে - শেষ না করে থামা গেলো না। এক সময় থেকে আরেক সময়ে কল্পনায় পৌঁছে যেতাম। আসলে নবম দশম শ্রেণীতে তো ভারতের প্রাচীন ইতিহাস পড়েছিলাম আমরা সেই সময়ে, কাজেই ঐতিহাসিক ধারণাটা বর্তমান ছিল তখন।
রুদ্র: শরদিন্দু ভাষার মধ্যে বহু তৎসম শব্দের ব্যবহার করেও এক অদ্ভুত কাব্যিক মাধুর্য এনেছিলেন। কথ্য ভাষায় ওই একি কাহিনী হয়ত এতখানি মনোরঞ্জন করত না।
রাজিব: ঠিক, আমার মনে আছে একটা বাক্যের অণোগ্শ “কপিথ্থ্য সুরভিত তক্র” নিয়ে অনেক ভেবেছিলাম। কি সেই জিনিস যা লেখক মাঝে মাঝেই তার ঐতিহাসিক চরিত্র দের পান করিয়েছেন? অভিধান ঘেঁটে দেখলাম বেল-এর সুবাস দেওয়া দই এর ঘোল । এটা কিন্তু শব্দের ব্যবহারের জন্যেই আমার কাছে এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল।
রুদ্র: অন্যান্য গল্পে অবশ্য তিনি তৎসম এবং তদ্ভব শব্দ মিশ্রিত করেছেন। মিশিয়েছেন সাধু ও চলিত বাংলা। যেমন ভূতাণ্বেষী বরদা-র গল্পে কথোপকথন লিখেছেন চলিত বাংলায় কিন্তু সূত্রধর এর ভাষা টা রেখেছেন সাধু বাংলায়।
রাজীবঃ আমাদের গল্প পাঠের আসরে আমরা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কিছু গল্প পড়বো । তাঁর সাহিত্যসম্ভারকে সীমিত কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গল্প পাঠের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য ।
রুদ্র: শরদিন্দুর ঐতিহাসিক উপন্যাস গুলো কে শব্দে ধরে রাখার ইচ্ছে আছে আমাদের। ওই লেখা গুলি কাল জয়ী। আমরা চাই আরো অনেকে যারা ওনার লেখার এই রস থেকে বঞ্চিত আছেন তাদের কাছে যদি এই সব কাহিনী কে পৌঁছে দেওয়া যায়।
রাজীবঃ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, এবং শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক বিস্তারকে আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন ।
--------
রুদ্রঃ এবারে আসি পরশুরামের কথায় - আমাদের দ্বিতীয় পর্বের আরেকজন অনুপ্রেরণা । পিতৃদত্ত নাম রাজশেখর বসু - এবং সে নামেও বাংলা ভাষার কিছু মূল্যবান কীর্তির স্রষ্টা - যার মধ্যে চলন্তিকা অভিধান, এবং রামায়ণ ও মহাভারতের অনুবাদ, বাঙালী পাঠকের কাছে সবথেকে পরিচিত ।
রাজীবঃ কিন্তু হাসির গল্প লেখার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ছদ্মনাম "পরশুরাম" - যেন অন্য একটি গল্প । এই নামে মোট একশোটি গল্প - তিনটি অসমাপ্ত - রেখে গেছেন আমাদের জন্য । অন্য অনেক লেখকের তুলনায় লেখার পরিমাণ কত কম - কিন্তু এইটুকুর মধ্যেই বাংলা সাহিত্যের বহু অবিস্মরণীয় চরিত্র ও ঘটনাবলী । বিরিঞ্চিবাবাকে কে ভুলতে পারে ? কিংবা সেই মোক্ষম সংলাপ - "হয়, হয়, জানতি পারো না" ? স্বয়ং সত্যজিৎ রায় দু-দু-বার চলচ্চিত্রের বিষয় হিসেবে পরশুরামের গল্প ব্যবহার করেছেন - "কাপুরুষ ও মহাপুরুষ"-এর মহাপুরুষ, আর "পরশ পাথর" ।
রুদ্রঃ শরদিন্দুর সঙ্গে পরশুরামের বেশ কিছু মিল আছে । দুজনে কাছাকাছি সময়ের মানুষ - পরশুরামের জন্ম ১৮৮০, শরদিন্দুর ঊনিশ বছর আগে । ছোটোবেলার অনেকটা বাংলার বাইরে পশ্চিমে কাটানো, বিশেষ করে মুঙ্গের জেলায়, পরে পাটনায় আইন পড়া, সাধুভাষার সঙ্গে কথ্য অবলীলায় মিলিয়ে দিয়ে রচনা ।
রাজীবঃ আবার অমিলও আছে । পরশুরাম লেখনী ধরেন জীবনে অনেক পরে - বিয়াল্লিশ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশ । তাঁর alter ego রাজশেখর বসু বহুদিন দায়িত্বপূর্ণ industrial chemist-এর কাজ করেন - তা থেকে অবসর গ্রহণের পরেই তাঁর সাহিত্যকীর্তির বেশীরভাগ । শরদিন্দুর বাংলা গদ্যের সব শাখায় বিশাল ব্যাপ্তি, আর পরশুরামের অল্প কয়েকটি ছোটো গল্প, আর কতিপয় কয়েকটি কবিতা । কিন্তু দুজনেই বাঙালী পাঠকের অতিপ্রিয়, বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় স্রষ্টা ।
রুদ্রঃ পরশুরাম সম্বন্ধে আরেকটু গভীর আলোচনা তাঁর গল্প পাঠ করার আগে দ্বিতীয় সীজনের কোনো এপিসোডে করার ইচ্ছা রইল - কিন্তু এখনকার মতো শুধু এই বলি যে পরশুরামের গল্প অতি সুগম - ভাষা আর ভাব, দুইই খুব অন্তরঙ্গ, পড়তে গেলে শক্ত কোনো কিছু ঠেকে না - গড়গড় করে প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করতে হয় না । খুব ছোটোবেলাতেই পরশুরাম পড়তে শুরু করেছি, আর কখনো মনে হয়নি যে বড়দের গল্প পড়ছি - বা কোনো কিছু বুঝতে পারছি না । সরল হাস্যরসে মন খুশী হয়ে গেছে । একটা উদাহরণ দিই - একটি ছোট্ট কবিতা । চন্দ্র-সূর্য বন্দনা ।
"চাঁদের জয় হোক, পরোপকারী ভদ্রলোক । ... ফেলবার নয় ।"
রাজীবঃ কিন্তু সেই হাস্যরসেই তো পরশুরামের শেষ পরিচয় নয়, তাই না ?
রুদ্রঃ ঠিক । হাস্যরস নেহাতই আরম্ভ । আসলে পরশুরাম ছিলেন ব্যঙ্গলেখক - তীব্র সামাজিক সমালোচক । কিন্তু পাকা satirist-এর মতোই, সেই ব্যঙ্গ করার সময় তিনি ক্রোধ বা হিংসাকে প্রশ্রয় দেননি - ঠোঁটে সবসময়ে রেখেছিলেন মুচকি হাসি, আর হৃদয়ে মনে হয় সকলের জন্যই ছিলো সমবেদনা ।
রাজীবঃ তাইজন্যই বোধহয় ছোটোবড় সব বয়সেই পরশুরামের গল্প পড়ে নির্মল আনন্দ পাওয়া যায়, আবার পাঠকের বয়স আর অভিজ্ঞতা একটু বাড়লে পরে বেশ কিছু সামাজিক বোধোদয়ও হয় । আসলে সময় পাল্টে গেলেও, মানুষ বা সমাজ তো তত তাড়াতাড়ি পাল্টায় না । পরশুরামের গল্পের চরিত্রদের আমরা এখনো খুব সহজেই চিনতে পারি - তাদের মধ্যে নিজেদের, বা পরিচিত অন্যদের, খুব সহজেই দেখতে পাই । আর অনেক গল্পই তো রূপক-ধর্মী - পৌরাণিক চরিত্রের বা ফ্যাণ্টাসীর মাধ্যমে বর্ণিত । কিন্তু আসলে সবগুলি চরিত্রই কালজয়ী - মানুষের চিরন্তন দুর্বলতা, আর তার বিরুদ্ধে চিরন্তন চেষ্টা, এই নিয়েই তাদের গল্প ।
রুদ্রঃ তাহলে এই হলেন আমাদের সীজন টু-এর দুজন নতুন লক্ষ ।
রাজীবঃ একজন গোয়েন্দা গল্প আর ভূতের গল্পে অদ্বিতীয়, ঐতিহাসিক ও দৈনন্দিন রোমান্সের অনবদ্য স্রষ্টা ।
রুদ্রঃ আর একজন বাংলায় অদবধি অদ্বিতীয় satirist ।
রাজীবঃ এঁদের, এবং অন্যদের হাত ধরে আমাদের দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ নতুন বছরে । আপনারা সঙ্গে থাকবেন আশা করি, শ্রোতা বন্ধুরা । আজকের মতো বিদায় নিই - নমস্কার ।
রুদ্রঃ নমস্কার ।