খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিক,
চিরিরবন্দর, দিনাজপুর
চিরিরবন্দর, দিনাজপুর
কমিউনিটি ক্লিনিকের অর্জনসমূহঃ
# প্রান্তিক জনগন সিএইচসিপিদের স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে কুসষ্কার দুর ও স্বাস্থ্য সন্মত জীবন যাপন পালনে মনোনিবেশ করছে ।
# সিএইচসিপিদের সিএসবিএ প্রশিক্ষন এর মাধ্যমে প্রায় ৪০০০ এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন হচ্ছে।
# স্থানীয় সরকার, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেবার মান দিন দিন বাড়ছে।
# গর্ভবতী মা ও শিশু প্রায় শতভাগ অনলাইন রেজিষ্ট্রেষন সম্পন্ন করা হচ্ছে।
# সিসিতে সঠিক ভাবে প্রায় শত ভাগ DLI পালন ও পুরন করা হচ্ছে।
# মাতৃ ও শিশু মৃতু কমান।
# রেফারেল সিস্টেমের আমুল পরিবর্তন ।
# সামাজিক দুরত্ব মানা, বিশ মিনট যাবত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝানো ও উৎসাহ প্রদান ।
# করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধনও টিকা নিতে জনসাধারন কে উদ্বুদ্ধ করা ।
# সিএইচসিপির এর সার্বিক কার্যক্রম সমূহ কমিউনিটি ক্লিনিকে স্থানীয় সরকার, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, পরামর্শ ও উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে ।
কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় -
Health Education:
01. Hand washing.(হাত ধোয়া) :
কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা প্রত্যেককে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত হাত ধোয়া শিক্ষা দেয়া ও বলা হয়।
02. social distance.( সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা):
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীদের কমপক্ষে ৩ ফিট দুরত্ব বজায় রেখে মেনে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়।
03. Wear a mask. (নো মাস্ক নো সার্ভিস) : No Mask No Service , মাস্ক নেই তো সেবা নেই ,"সেবা পেতে অবশ্যই মাস্ক পড়ুন" আগত রোগীদের সঠিক ভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করে সেবা দেয়া হচ্ছে সিসিগুলোতে।
: == = = = = = = = = = :
করোনা টিকা নিবন্ধন করন ও টিকা নিতে উপজেলায় প্রেরনঃ
সিসিতে বসে সিএইচসিপি নিয়মিত করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন ও টিকা নিতে উৎসাহ প্রদান করছে করে যাচ্ছে।
শিশু খাবার ও পুষ্টি বিষয় কাউন্সেলিংঃ
সিএইচসিপি কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে পুষ্টি ট্রে মাধ্যমে শিশু খাবার ও পুষ্টি বিষয় কাউন্সেলিং করে যাচ্ছে যা এই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যান্ত কার্যকর।
সাধারন চিকিৎসাঃ
প্রত্যন্ত গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ হাতের কাছেই সাধারন রোগের চিকিৎসা পাচ্ছে বলে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে রোগীর ভিড় কমছে। যার ফলে করোনা সংক্রমন ঝুকি কমছে। সন্দেহ ভাজন রোগীদের রেফার করা হচ্ছে।
: == = = = = = = = = = = :
কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভালী:
দেশে প্রায় ৪০০০ টির বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারী হচ্ছে ফলে গর্ভবতী মাদের উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না, যা করোনা সংক্রমনে কমছে ঝুকি।
: == = = = = = = = = = :
COVID-19 সংক্রমনের ঝুঁকি আছে কিনা জানতে কমিউনিটি ক্লিনিকে সিমেড(CMED) স্ক্রিনিংঃ
মহামারী করোনায় সবাই যখন আতঙ্কিত, তখন “প্রতিকার নেই কিন্তু প্রতিরোধ সম্ভব” এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিমেড হেলথ নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন জাতীয় কোভিড-১৯ ডিজিটাল সার্ভেলাইন্স সিস্টেম (COVID-19 DSS)। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে রোগীর সম্ভাব্য করোনা জানা যায় এবং প্রয়োজনে রেফার করা হয়।
: == = = = = = = = = = :
বিভিন্ন দিবস ও জাতীয় অনুষ্ঠান সমুহে স্বাস্থ্য বিধি মানা শিক্ষাঃ
করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২১ বিকল্প পদ্ধতিতে সকল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্যবিধি (শারীরিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট, মাস্ক পরিধান, সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া) মেনে ক্যাম্পেইন উদযাপিত হয়।
: == = = = = = = = = = = = :
করোনা পজিটিব রোগীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধ পৌছানঃ
"করোনাকে ভয় নয়, সবাই মিলে করবো জয়"
স্বাস্থ্য সেবার পাশা পাশি নিজ নিজ কর্মএলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরামর্শ, সাহস, ভালোবাসা এবং UH&FPO স্যারের প্রিসক্রিপসন মত ওষুধ পৌছে দেন সিএইচসিপি।
Chcp সর্বদা ৪টি সেবা গুরুত্বসহকারে করে আসছে -
১. উন্নয়ন মুলক সেবা-
অথ্যাৎ জনগোষ্টির জীবনধারায় সুস্বাস্থ্যের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
যেমন-
1. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বাড়ানো।
2. স্বাস্থ্য সমস্যার সন্মুখীন হলে তারা যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে , এ লক্ষে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে জ্ঞান দান।
3. সুসম পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞানদান ও তা গ্রহনে উৎসাহ দান।
4.স্বল্পব্যয়ে স্বাস্থ্যসন্মত বাসস্থান, পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাবহার নিশ্চিতকরণ।
২. প্রতিরোধ মুলক সেবা:
অথ্যাৎ রোগ প্রতিরোধক সেবা প্রদানের মাধ্যমে রোগের উৎপত্তি রোধ করে বিস্তার কমানো সম্ভব।
যেমন-
I. শিশুদের ও গর্ভবতীমাদের রোগ প্রতিষেধক টিকা দিয়ে মারাত্বক
রোগের হাত থেকে বাচান।
II. শিশুদের ৬মাস পর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর ফলে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
III. মহিলাদের জন্য লৌহ বটিকা খাওয়া ও রক্তসল্পতা প্রতিরোধ করা।
৩. আরোগ্য মুলক সেবা:
#.আরোগ্য মুলক সেবার মাধ্যমে রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিদের সময়মত সঠিক চিকিৎসো প্রদানের করা এবং প্রয়োজনে রেফারাল ব্যবস্থা করা।
৪. পুনবাসনমূলক সেবা:
যেমন- আঘাতে অথবা কোন রোগে পঙ্গু হলে পুনর্বাসনে সহায়তা করা।
সিএইচসিপি প্রতিনিয়ত সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৩.০০টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে অক্লান্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে- : যেমন -
০১. সাধারন রোগ ও ক্ষতের লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা।
০২. মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ।
০৩. নবজাতক শিশুদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, আইএমসিআই চিকিৎসা ও পরামর্শ।
০৪. গর্ভবতীমাদের নিয়মিত চেকআপ এবং পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা এবং অনলাইন রেজিট্রেশন। গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব পূর্ব, প্রসবকালীন, প্রসবোত্তর অত্যাবশকীয় সেবা প্রদান এবং প্রয়োজনে দ্রুততার সাথে জরুরী প্রসুতি সেবা কেন্দ্রে প্রেরন।
০৫. পরিবারপরিকল্পনা সেবা ও পরামর্শ, স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধির জন্য রেফার ।
০৬. পুষ্টি বিষয়ক সেবা ও পরামর্শ।
০৭. রক্তের গ্লুকোজ (ডায়াবেটিক) পরীক্ষা ও পরামর্শ প্রয়োজনে রেফার।
০৮. উদ্ধুত রোগ সনাক্তকরন ও উচ্চতর পর্য়ায় রেফার।
০৯. প্রাথমিক সমস্যার সকল চিকিৎসা ও সরবরাহ সাপেক্ষে বিনামুল্যে ও ওষুধ।
১০. সংক্রমক রোগের জন্য শিশুদের টিকা প্রদান এবং ১৫-৪৫ বছর বয়সী মহিলাদের ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক টিটি টিকা।
১১. প্রাথমিক জরুরী সেবা।
১২. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও রোগপ্রতিরোধ প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা।
১৩. কুসংষ্কার দুরীকরনে কাউনসেলিং করা।
১৪. কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনমুলক সেবা।
১৫. প্রবিনদের জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবা।
১৬. সম্বাব্য যক্ষা রোগীর কফ সংগ্রহ ও পরামর্শ এবং রেফার।
১৭. ফাইলেরিয়াসিস রোগীর প্রয়োজনীয় ব্যায়াম শিখান ও পরামর্শ প্রদান।
যার ফলস্রতিতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, গনপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী , উন্নয়নের কান্ডারী , গনতন্ত্রের মানস কন্য, বঙ্গকন্যা, দেশ নেত্রী, জনগনের দুই চোখের মনি, রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন, জননেত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাস্থ্য তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে “সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড” লাভ করেন, সেপ্টেম্বর ২০১৩।
এই সিএইচসিপি তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫ বছরের নিচে শিশু ও গর্ভবতী মা ডাটা এনালাইচ করে স্বাস্থ্য তথ্য ভান্ডার তৈরী করেছে। ই-হেলথ এর এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসতেছে।
সিএইচসিপির স্বাস্থ্য সেবায় কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সম্পৃক্ততা নেই ।
একজন সিএইচসিপি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা দেয়ার কারনে-
প্রতি দিন গড়ে ৩৫/৪০ জন সাধারন রোগীকে যেতে হচ্ছে না উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, প্রাইভেট হাসপাতালে, ফলে একজন রোগী যেমন- সময়, যাতায়ত খরচ, মহিলা হলে তার সাজু গুজু ও সঙ্গে একজন সাথী, ওষুধ কেনা অর্থনৈতিক থেকে রক্ষা পাচ্ছে, সাবলম্বী হচ্ছে তার পরিবার, তেমনি- উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে কমছে রোগীর চাপ।