বিবরণঃ
পান্না হালকা ও ঘন সবুজ এবং ণীলাভ সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। পান্না কে মরকত বলা হয়। পান্নার আরবি নাম জমরুদ।
উৎসঃ
পান্না সাধারণত ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলায়, কলম্বিয়া ও রাশিয়াতে হয় থাকে। তবে ভাল পান্নার জন্য রাশিয়া বিখ্যাত। আমাদের দেশে সাধারণত ব্রাজিল পান্না ভালো মানের পাওয়া যায়।
উপকারিতাঃ
পান্না পাথর ব্যবহারে ব্যবসার উন্নতি, কূট-বুদ্ধি, উপস্থিত বুদ্ধির পরিবর্তন ঘটায়।
RED CORAL (রক্ত প্রবাল)
বিবরণঃ
সমুদ্র প্রবাল নামক কীট এর মৃতদেহ জমে যে শিলা তৈরি হয় তাকে প্রবাল পাথর বলা হয়।
উৎসঃ
প্রবাল শিলা সংগ্রহ করে কেটে পলিশ করে বাজারে প্রবাল রত্ন নামে বিক্রি করা হয়। বেশ কয়েক রঙের প্রবাল পাথর পাওয়া যায়।
কালো দাগ বা একই রত্নএ একাধিক দাগ বিহীন কিন্তু শিলা যুক্ত রত্ন পাথর ব্যবহার করার সবচেয়ে ভালো। গভীর টকটকে লাল রঙের পাথরকে রক্ত প্রবাল বা রক্তমুখী প্রবাল বলা হয়। রক্ত প্রবাল এর ব্যবহার বেশি। এছাড়া পলাশ ফুলের মতো লাল রঙের রত্নকে পলাশ প্রবাল এবং লাল ও হলুদ রংয়ের মিশ্রিত প্রবাল কে গৌরী প্রবাল বলা হয়। তাছাড়া সাদা রঙের প্রবাল কে শ্বেত প্রবাল বলা হয়।
উপকারিতাঃ
রক্ত প্রবাল ব্যবহারের মন দেহ ভালো থাকে এবং রক্তপাত ময় দুর্ঘটনা প্রকৃতি থেকে জাতক-জাতিকাদের রক্ষা করে। রক্ত প্রবাল ব্যবহারে হাঁপানি,বদহজম,রক্তশূন্যতা,রক্তকুষ্ট দূর হয়। তাছাড়াও রক্ত প্রবাল ব্যবহারের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে।
YELLOW SAPPHIRE (পোখরাজ পাথর)
বিবরণঃ
পোখরাজ হলুদ বর্ণের পাথর। পোখরাজ এর অপর নাম পুষ্প মনি। পোখরাজ সাদা রঙের ও হয়ে থাকে। সাদা পোখরাজ কে শ্বেত পোখরাজ বলে। পোখরাজ কাটা দাগ বা চিহ্ন বিহীন রত্নপাথর সবচাইতে ভালো। হালকা হলুদ বর্ণের পোখরাজ গুলো ভালো হয়, অধিক হলুদ বর্ণের পোখরাজ গুলো তেমন ভালো হয় না।
উৎসঃ
পোখরাজ পাথর সাধারণত শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকান, থ্যাইল্যান্ড, ইন্ডিয়ান হয়ে থাকে। পোখরাজ পাথর পাহাড়ে জন্ম নেয়। নীলা ও পোখরাজ একই ক্ষনি থেকে আসে। তবে শ্রীলঙ্কার পোখরাজ সব চাইতে ভালো।।
উপকারিতাঃ
পোখরাজ ব্যবহারে শরীরের ব্যথা, চর্মরোগ, মেদ বুদ্ধি,ও লিভারের উপকার করে থাকে।
NATURAL RUBY STONE (চুনি পাথর)
বিবরণঃ
চুনি/RUBY অতি উজ্জ্বল লাল, স্বচ্ছ ও আকর্ষণীয় রত্ন। রুবি কে আরবিতে ইয়াকুব বলা হয়। রুবি বা চুনি অনেক মূল্যবান রত্ন।
উৎসঃ
বাজারে কয়েক প্রকারের বর্নের চুনি দেখা যায়। টকটকে লাল চুনি দ্রুত ফল দেয়। ইহা বার্মা দেশে পাওয়া যায়। তাই একে বার্মিজ রুবি বলে। শ্রীলংকায় যে চুনি/রুবি পাওয়া যায় তা গোলাপী লাল বর্ণের হয়। ইহা দ্বিতীয় শ্রেণীর চুনি/ রুবি। তাছাড়া থাইল্যান্ডের রুবি/চুনি পাওয়া যায় যা টকটকে লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ইহাকে থাইল্যান্ডের রুবি বলা হয়।
উপকারিতাঃ
যেকোনো মেঘাচ্ছন্ন বা ঝাপসা বিবর্জিত রত্নপাথর সবচেয়ে উপকৃত। রুবি বা চুনি ব্যবহারে অর্থ বুদ্ধি ও সম্মান বৃদ্ধি পায়।
NATURAL PEARL STONE (মুক্তা পাথর)
বিবরণঃ
মুক্তা রূপালী কোটিং যুক্ত চকচকে উজ্জ্বল রত্ন।
বেশ পদের মুক্তা বাজারে দেখা যায়।
তবে ধবধবে সাদা বা একটু হলুদ বর্ণের মুক্তাই সবচেয়ে ভালো। ইহার ঝিনুকের মধ্যে জন্মে।
উৎসঃ
রুপালি মনি কে বসোরাই মুক্তা বলা হয়।। বসোরাই মুক্তা আমাদের দেশে হয় না বা জন্মে না।
আমাদের দেশে ঝিনুকের মধ্যে যে মুক্তা হয় তা আকারে ছোট, তবে ভারী ও কর্মক্ষমতা কম নয়। ঝিনুকের মধ্যেই ইনজেকশন দিয়ে জাপানের দিয়া যে মুক্তা তৈরি করে। জাপানি মুক্তা ব্যবহারে তেমন কোন কার্যকরী নয়।
উপকারিতাঃ
চন্দ্রের দুর্বলতার জন্য মুক্তা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া মুক্তা ব্যবহারে ঘুম ভালো হয়, মাথা ঠান্ডা রাখে। যক্ষ্মা ও ক্ষয় রোগের জন্য মুক্তা অনেক উপকারী।

🏦 G-03 Sonargaon Bhaban, 42 TANTI BAZAR, DHAKA 1100
[বিঃ দ্রঃ আমাদের অন্য কোথাও কোন দোকান বা অফিস নেই]